২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক অভিযান শুরু হয়। কিন্তু এক দিন আগেও আমি বা অনেক রুশ বিশেষজ্ঞের কাছেই এটি অকল্পনীয় বলে মনে হয়েছিল। আপাতদৃষ্টিতে পুতিনের এই পদক্ষেপ অযৌক্তিক বলেই মনে হচ্ছে। এই আগ্রাসন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সংঘটিত একটি অপরাধ।
আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। এটি রাশিয়ার ইতিহাসেও অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। ইউক্রেনীয়দের পাশাপাশি রুশদেরও এর মূল্য দিতে হবে। এটাই হতে পারে রুশ জনগণের পক্ষে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যাওয়ার অকাট্য প্রমাণ।
ইউক্রেনকে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ’ বলে অভিহিত করে রাশিয়া। ক্রেমলিনের এই অতিশয়োক্তি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে বেশ উপহাস করা হয়। তবে প্রকৃতপক্ষে বেশির ভাগ রুশই তাদের এই প্রতিবেশীকে এভাবেই দেখে। এটা মোটেও মতাদর্শগত কারণে নয়। কারণ দেশটিতে রুশদের কমবেশি সবারই আত্মীয় বা বন্ধু রয়েছে।