সুঁই-সুতায় জীবনের সুখ-দুঃখের ছবি আঁকা বাংলার নারীর অনেক পুরোনো অভ্যেস। সংসারের সব কাজের শেষে, কাপড়ের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা সে ছবির নাম নকশিকাঁথা। সংসারের প্রয়োজনে প্রায় সারাদেশেই এর প্রচলন থাকলেও কোনো কোনো জায়গার নারীরা একে দেন অনিন্দ্য শিল্পরূপ।
জামালপুর ঠিক তেমনই একটি জেলা। সময়ের পরিবর্তন, প্রয়োজন ও উদ্ভাবনে নকশিকাঁথার সেই নকশা স্থান করে নিয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শাল, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, শাড়ির পাড়, ওড়না, মাথার ব্যান্ড, মোবাইল ব্যাগ, পার্স, কলমদানি, স্কার্ট, টিভি কভার, জায়নামাজ, দস্তরখানা, মোড়ার কভার, টেবিল কভার, টিস্যু পেপার ডেস্ক, ফুলদানি কভার, ফ্লোর কুশন, ডেস্ক ক্যালেন্ডার, ডায়েরি কভার, অলংকার বক্স, ছাইদানি, শপিং ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, গিফট বক্স, স্কুলব্যাগ, বুকশেল্কম্ফ, ড্রেসিং টেবিল, কম্পিউটার কভারসহ অর্ধশতাধিক ব্যবহারিক সামগ্রীতে।
সম্প্র্রতি করোনাকালে অতি প্রয়োজনীয় মাস্কেও শোভা পাচ্ছে নকশিকাঁথার সেলাই। এই নকশিকাঁথা আর তার নকশাকে পুঁজি করে জেলায় গড়ে উঠেছে সাড়ে পাঁচ হাজার উদ্যোক্তা, যার ৯৫ ভাগই নারী।