বিভক্তির বেড়াজালে আবদ্ধ দেশের বাম প্রগতিশীল দলগুলো গত তিন দশকেও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিকল্প শক্তি হয়ে উঠতে পারেনি। বামপন্থিদের একটি অংশ শাসক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে মাঠে আছে। আরেকটি অংশ আছে বিএনপির সঙ্গে। এর বাইরে বাম ঘরানার দলগুলোর পৃথক দুটি জোট আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে দেশের রাজনীতির মাঠে বিকল্প শক্তি হয়ে ওঠার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ভোটের মাঠেও কাঙ্ক্ষিত কোনো সফলতা পায়নি। এমনকি জনমনেও এ দলগুলো তেমন কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি।
সংশ্লিষ্টদের মতে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বিকল্প শক্তি হিসাবে নিজেদের দাঁড় করাতে প্রায় তিন দশক ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাম ঘরানার দলগুলো। জাতীয় এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এরা নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করেছে। এ চেষ্টায় কখনও এগিয়েছে, আবার কখনও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিজেরাই বিভক্ত হয়েছে নানা ভাগে। বামপন্থি নেতাদের কারও কারও সুবিধাভোগী রাজনীতি, ক্ষমতাসীনদের বলয়ে থেকে মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও পিছিয়ে দিয়েছে বাম আন্দোলনকে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাকালীন সংকট।
জানতে চাইলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বুধবার যুগান্তরকে বলেন, আমরা বামপন্থিরা নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসাবে গত তিন দশকেও দাঁড় করাতে পারিনি। এটা অপ্রিয় হলেও সত্য। তবে জনজীবনের প্রতিটি ইস্যুতে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রামটা কিন্তু আমরা অব্যাহত রেখেছি। বামপন্থিদের একটি অংশের চরম সুবিধাবাদী প্রবণতা, ক্ষমতার বলয়ে থাকার মানসিকতা, মন্ত্রী-এমপি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, আমাদের বিকাশের পথ বারবার রুদ্ধ করেছে। বামপন্থার অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।