দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ তুলেছে, চাকরি হারানো কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমে সেটার লিখিত জবাব দেন। প্রথম আলোকেও তিনি এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা দেন।
দুদকের সচিবের আনা অভিযোগে বলা হয়, শরীফ আদালতের অনুমতি ছাড়া লিখিত ও মৌখিকভাবে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেন, যা কমিশনকে বিব্রত করেছে। এ প্রসঙ্গে শরীফ বলেন, ‘আমি ব্যাংকে টাকা জব্দ করার আদেশ দিইনি। তদন্তের স্বার্থে ব্যাংকে অনুরোধপত্র দিয়েছিলাম। অনুরোধপত্রে এটাও লেখা ছিল যে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে এ ব্যাপারে শিগগির অবহিত করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে এটা করা হয়েছিল শুধু অপরাধলব্ধ টাকাগুলো উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য।’
কক্সবাজারে এক সার্ভেয়ারের বাসা থেকে র্যাবের জব্দ করা ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে না রেখে এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে এক বছর চার মাস নিজের হেফাজতে রেখেছেন শরীফ। এ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জব্দ করা আলামতের টাকা তদন্তকারীর কাছে রাখা যাবে না, এমন বাধ্যবাধকতার কথা আইনে নেই। জব্দকৃত আলামতের টাকা অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে ছিল, এমন নজির দুদকে প্রচুর আছে।