পুতিন হাঁটার সময় তার ডান হাতটা পুরো স্থির থাকে কিংবা খুব সামান্যই নড়ে। এর ব্যাখ্যায় সবচেয়ে গৃহীত তত্ত্ব হচ্ছে, তাঁর কেজিবির জীবন। কেজিবির একটি ট্রেনিং ম্যানুয়ালে দেখা গেছে, যে মানুষটি যে হাতে অস্ত্র চালায় হাঁটার সময় সেই হাতটি কম নাড়াবেন, যাতে প্রয়োজনে বুকের কাছে রাখা (শোল্ডার হোলস্টার) অস্ত্রটি খুব দ্রুত বের করে আনা যায়। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষকে প্রতারিত করার মতো ভীষণ শীতল দৃষ্টিতে তাকানো পুতিনকে দেখলে এখনো একজন কেজিবি এজেন্টই মনে হয়, যিনি স্বার্থসিদ্ধির জন্য করতে পারেন যেকোনো কিছু। জানি, গোয়েন্দা এজেন্ট ছিলেন, তাই তিনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন, এটা বলা ভীষণই সরলীকরণ। তাই দেখা যাক, ক্ষমতা পেতে এবং সেটা ধরে রাখতে তিনি ঠিক কী কী করেছেন।
বেকার গোয়েন্দা এজেন্ট থেকে অতি ক্ষমতাশালী প্রেসিডেন্ট
কারও পারিবারিক উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে না এসেও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেকার হয়ে পড়া কেজিবি এজেন্টের মাত্র ১০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে রাশিয়ার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়া কল্পকাহিনিকেও হার মানায়।