রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রভাষা কোনোটাই সুষ্ঠু ধারায় অগ্রসর হয়নি

প্রথম আলো আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০৩

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে তার রাষ্ট্রভাষা কী হবে, এ প্রশ্ন দেশভাগের আগেই উঠেছিল। ১৯৪৭ সালের পয়লা সেপ্টেম্বরেই তমদ্দুন মজলিশ গঠনের প্রচেষ্টা শুরু হয়। তমদ্দুন মজলিশ পাকিস্তানবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতর রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নটি সামনে আনে। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা এ সংগঠনের মধ্যে ছিল না। পাকিস্তানকে রক্ষা করার এবং গড়ে তোলার জন্যই এ সংগঠন বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতর রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলেছিল। এর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আবদুল মতিন বাংলা ভাষাকে উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলেন, আন্দোলনের জন্য সাংগঠনিক প্রক্রিয়ারও সূচনা করেন। পরে তিনি পরিচিত হন ‘ভাষা মতিন’ নামে। তিনি ছিলেন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির অনুসারী। তখন গড়ে ওঠে গণতান্ত্রিক যুবলীগ। এ সংগঠনও অন্যতর রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলনে অগ্রসর হয়।


সংগঠনটির পেছনে সক্রিয় ছিল গোপন কমিউনিস্ট পার্টি। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগের নাম তখন ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের কিছু পরে গড়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন। ছাত্র ইউনিয়নের পেছনেও ক্রিয়াশীল ছিল গোপন কমিউনিস্ট পার্টি। সে পর্বে বাংলাকে অন্যতর রাষ্ট্রভাষা রূপে প্রতিষ্ঠা করার দাবির সঙ্গে জনজীবনের আরও নানা দাবি আন্দোলনের কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়। শ্রমিক-কৃষকদের নানা সমস্যা, ছাত্রদের নানা সমস্যা, শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের দাবি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি ইত্যাদি সামনে আনা হয়। তবে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি এবং গণতন্ত্রের দাবি সব সময় উত্থাপিত হয়েছে।


রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রগতিশীল চিন্তাধারা নিয়ে কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীরাও সক্রিয় ছিলেন। তথ্যাদি বিচার করতে গেলে দেখা যায়, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পর্যায়ে বাংলা ভাষার, বাংলা সাহিত্যের এবং বাংলায় জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বছর পাঁচেকের মধ্যেই সরকারি অফিসে বাংলা ভাষা চালু হয়েছে এবং সে ধারা চলমান আছে। শিক্ষাব্যবস্থায়ও বাংলা ভাষার ব্যবহার বেড়েছে। উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের জন্য অনেক বই ইংরেজি থেকে—আরও কোনো কোনো ভাষা থেকে বাংলায় অনূদিত হয়েছে। অনেক বই লিখিত হয়েছে।


চিকিৎসাবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, প্রভৃতি বিষয়েও বাংলা প্রচলনের আয়োজন দেখা গেছে। বিচারব্যবস্থারও বাংলা প্রচলনের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ব্যাংকের কাজকর্মেও বাংলা চালু করার জন্য প্রচার-আন্দোলন চালানো দরকার। শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্র সৃষ্টির পাশাপাশি সমালোচনা ও মূল্য বিচার দরকার। গত ৭০ বছরে বাংলা ভাষার প্রয়োগ ও উপযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষার উন্নতি নিয়ে, জাতি গঠন ও রাষ্ট্র গঠন নিয়ে যে আগ্রহ ও আশা আগে ছিল, অন্তত ২০ বছর ধরে তা কমে যাচ্ছে! কেন কমে যাচ্ছে। ভাষা, জাতি ও রাষ্ট্র কোন গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us