সম্পদের ‘চেহারা’ একাল ও সেকাল

ডেইলি স্টার মুতাসিম বিল্লাহ প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০৭

অর্থ-সম্পদের চেহারাকে না চিনলে সম্পদকে ধরে রাখা যায় না। ভারতের বৈদিক যুগে যার যত বেশি গরু ছিল তাকেই সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী মনে করা হতো। সে সময়ে টাকা নয়, গরুই ছিল বিনিময় মাধ্যম। এর গুরুত্ব এতো বেশি ছিল যে তা দেবত্বে পর্যন্ত রূপ নেয়।


পরবর্তীতে সম্পদের বিনিময় মাধ্যম হয়ে ওঠে ধাতব মুদ্রা—তামা, রুপা, স্বর্ণ। বাংলায় মৌর্য যুগে ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় মাধ্যম, কুষাণ যুগে বাংলায় প্রচুর স্বর্ণ মুদ্রা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গুপ্ত যুগ, সুলতানি ও মোগল যুগ পর্যন্ত বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় স্বর্ণমুদ্রার। পাল ও সেন আমলে কড়ি হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ বিনিময় মাধ্যম।


বিনিময় মাধ্যম হিসেবে গরুর সে আমল শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে ধাতব মুদ্রার যুগেরও। মুদ্রার নামের ও পরিবর্তন ঘটেছে। কাহান, কার্ষাপণ, কাকিণী, ভদ্রি, কড়ি, টংক্যা, আনার নাম পরিবর্তন হয়ে এখন টাকা ও পয়সা শব্দ দিয়ে অর্থকে বুঝি। হাল আমলে প্রযুক্তির এই যুগে এখন অর্থকে বিটকয়েন কিংবা ক্রিপটোকারেন্সিতে রূপান্তর হতে দেখি। ঠিক তেমনি ৩০০ বছর আগে যার যত বেশি জমি ছিল তিনি তত সম্পদশালী ও জমিদার ছিলেন। পরবর্তীতে যার যত বেশি ফ্যাক্টরি ও প্রোডাকশন তিনি তত বেশি ধনী ছিলেন। বর্তমানে যারা তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি ও এর নিয়ন্ত্রণ নখদর্পণে রেখেছেন তারাই সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী।


আসহাবে কাহাফের গল্পের মতো পুরনো অনেক অর্থই বাজারে যেমন সময়ের পরিক্রমায় মূল্যহীন হয়ে যায়, ঠিক সম্পদ সম্পর্কে আমাদের পুরানো ভাবনা থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে টাকার গোলাম হওয়ার প্রচেষ্টায় রাত-দিন, গোটাজীবন ব্যস্ত থাকলেও দিন শেষে শূন্য হাতে, পরিবার পরিজনকে অভাবগ্রস্ত ও বিস্বাদগ্রস্ত রেখে একরাশ হতাশা নিয়ে এই জীবনটা পার করতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us