ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক অর্থনীতি চাঙা। করোনার মন্দা কাটিয়ে বেসরকারি খাতে চাঞ্চল্য ফিরেছে বলে বেড়েছে ঋণপ্রবাহ। অথচ এ চাঙা অর্থনীতির প্রতিফলন নেই সরকারের রাজস্ব আদায়ে। অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ থাকা দূরের কথা গত সাত মাসে ঘাটতি ছাড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজস্ব ভিত্তি না বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ালে ঘাটতি থাকাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মন্দায় থাকা বেসরকারি খাতে গতি ফিরেছে। গত নভেম্বরের চেয়ে ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছে প্রায় দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যেখানে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মানে হচ্ছে, ব্যাংক থেকে বেসরকারি খাতের জন্য দেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। বেসরকারি খাত ব্যবসায় টাকা খাটাচ্ছে। শিল্প-কারখানা তৈরি করছে, পুরোনো কারখানার সম্প্রসারণ করছে। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় করছে। বিনিয়োগ করছে। ব্যবসা বড় হচ্ছে। আমদানির চিত্র দেখলে সেটাও স্পষ্ট হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বরে ৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ১০ লাখ (প্রায় ৪০ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ অর্থনীতিতে চাহিদা বেড়েছে বলেই আমদানি বাড়ছে।