সাম্প্রতিক সময়ে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পরে যে বিষয়টি বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা হলো, বাংলাদেশ সরকার এবং রাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লবিস্ট নিয়োগের ঘটনা। অনেক সময় হলেও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে ছিল। পরে কয়েক দিন আগে এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জনাব শাহরিয়ার আলম এমপি সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করার সময় তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের ঘটনাটি জাতির সামনে উপস্থাপন করেন।
লোক নীতির অ্যাকাডেমিক আলোচনায় আমরা দেখেছি, নীতি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অনুঘটক সব সময় চেষ্টা করে সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে। এই ক্ষেত্রে লবিস্টরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে স্বীকৃত অনেককাল ধরে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় লবিং করা হয় সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনও সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দল, যাদের সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের কাছে পৌঁছাবার ক্ষমতা নেই, তারা লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে তাদের পক্ষে নীতি প্রণয়ন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সরকার এবং রাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বের কাছে ছোট করে স্বার্থ হাসিলের ঘটনাটি সচরাচর দেখা যায় না, যা অতি সম্প্রতি বিএনপি'র কার্যকলাপের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে।