তারা তাদের যে দায়িত্ব অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে কথা আমরা বলতাম, তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি একটা অহিংস নির্বাচন, সেটাও তারা দিতে পারেনি। গত সাত দফা ইউপি নির্বাচনে শতাধিক মানুষ মারা গেছে। এখন আমাদের দাবি হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ শুধু নয়; একটা অহিংস নির্বাচন যেন হয়। মানুষ যেন আহত বা নিহত না হয়। গত পাঁচ বছরে যা যা করেছে এই কমিশন, সব মিলিয়ে একমাত্র সাফল্য যদি বলি তা হলো নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এর বাইরে জাতীয় বা ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে একটা ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠেছে।
দলীয় আনুগত্যের দিক থেকে তারা পুরোটা সময় সবকিছু বিচার-বিবেচনা করেছে। নির্বাচন কমিশন যে একটা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের ক্ষমতা, ব্যক্তিত্বের চর্চা করবে সেই জায়গাটি দেখাতে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কমিশনের সদস্যদের মধ্যেও সমন্বয়ের অভাব ছিল। একেকজনের একেক রকম কথাবার্তা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।