পর্যবেক্ষকদের কেউ ভাবছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করবেন; কেউ ভাবছেন করবেন না। তবে ইউক্রেনবাসী মনে করছে, পুতিন ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে যখন সেটিকে রাশিয়ার দখলে নিয়েছিলেন, তখনই রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধ লেগে গেছে এবং যুদ্ধটা এখনো জারি আছে।
হাজার হাজার ইউক্রেনীয় ইতিমধ্যেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এ কারণে পুতিন এরপরে কী করবেন বা না করবেন তা অনুমান করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে কিয়েভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সময় নষ্ট করতে চায় না। বরং আজ কী করতে হবে তার ওপরই তারা দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে।
ইউক্রেনীয় নেতারা বুঝতে পারছেন, তাদের অবশ্যই সেনাবাহিনী প্রস্তুত করতে হবে; যুদ্ধ লাগলে তার যে প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে তা যথাসম্ভব কমানোর পথ বাতলাতে হবে এবং যতটা সম্ভব মিত্র খুঁজে বের করতে হবে। তারা শুধু পশ্চিমাদের সহায়তা পাওয়ার আশায় বসে থাকতে চায় না। তারা অন্যদেরও যে কোনো সহায়তাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করতে চায়।