আমি সম্প্রতি ঢাকার দু’তিনটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের কথা বলছি। ভাষা সৈনিকদের নিয়ে তাঁদের সন্তান, ‘রাজশাহীতে’ সেখানকার জেলা প্রশাসক মো: আবদুল জলিল যে অসাধারণ ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং নারায়ণগঞ্জের মর্গ্যান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ সেখানকার একজন বীর ভাষা সৈনিককে নিয়ে যে ঘটনা ঘটালেন তা সমগ্র বাংলাদেশের ভাষা সৈনিকদের মনে যথেষ্ট উৎসাহ জোগাবে। অন্তত: আমার মনে তো জুগিয়েছেই।
প্রথম যে খবরটি নজরে পড়েছিল তা হলো ঐ তারিখের ‘জনকণ্ঠে’ দেশের খবর শীর্ষক ১০ নং পৃষ্ঠায় “উপহার নিয়ে দুই ভাষা সৈনিকের বাড়িতে হাজির রাজশাহীর ডিসি” শীর্ষক খবর। তাতে বলা হয়েছে “অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এবার ভাষা সংগ্রামীদের বাড়িতে গিয়ে সম্মান জানালেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল”। রবিবার সকালে তিনি ফুল, ফল ও মিষ্টি নিয়ে সম্মান জানাতে ছুটে যান রাজশাহীর দুইভাষা সৈনিকের বাড়িতে।
সেদিন বেলা সাড়ে এগারটার দিকে জেলা প্রশাসক মো: আবদুল জলিল প্রথমে মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় থাকা ভাষা সৈনিক মোশারফ হোসেন আকুঞ্জির বাড়িতে যান। এ সময় জেলা প্রশাসক তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ ফল ও মিষ্টি উপহার দেন। পরে তিনি এই ভাষা সৈনিকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আকস্মিক এ সাক্ষাতে ভাষা সৈনিক মোশারফ হোসেন আকুঞ্জি রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি দাবী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পর এখনও সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন হয় নি। তাই এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেন।