মানবজীবনে আনন্দ যেমন থাকে, তেমনি থাকে কষ্টও। কিন্তু সুখের চেয়ে দুখের আতিশয্য কি বেশি? হ্যাঁ, আমাদের মতো উল্টো ঘোড়ার পিঠে চলার অঞ্চলে অন্তত তাই। এখানে সুখ আসে কায়ক্লেশে। আর দুখ থাকে রাজার হালে, বহাল তবিয়তে। সেই দুখে হাজারো গন্ধে মিশে থাকে ভাতের কষ্টও। কেউ কেউ মুখ ফুটে বলে, হাত পাতে। আর বাকি অধিকাংশ মুখ বুজে সহ্য করে ভাতের কষ্ট। আচ্ছা, ভাতের কষ্ট বোঝেন তো?
এটা আসলে এমন এক কষ্ট, যা নিজে অনুভব না করলে প্রতিক্রিয়া উগরে দিতে পারবেন না। না, না, অভিমান করে এক বেলা না খেয়ে থাকার কথা বলছি না। ভেবে দেখুন তো, কোনো দিন কি চূড়ান্ত বাধ্য হয়ে টাকার অভাবে না খেয়ে থাকতে হয়েছে? সেই শূন্য পকেটের অসহায়ত্ব চিত্রিত করা যায় না। যার হয়, সেই শুধু বোঝে। বিত্তের শ্রেণিভেদে এমন কষ্টের রূপ আবার রং পাল্টায় গিরগিটির মতো। বিত্তের সর্বনিম্ন শ্রেণি হাত পাততে পারে সব লাজ ভেঙে। কিন্তু মধ্যবিত্ত তা-ও পারে না। এই শ্রেণি খালি পেটে খালি পকেট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, কাজ খোঁজে। আর সূর্য ডোবার পর নিস্পৃহ মনে ভাবে, আহা, একটা দিন তো গেল! কালও কি এভাবেই যাবে?