বিতরণকৃত ঋণের আয় থেকে আমানতকারীদের সুদ পরিশোধ করে ব্যাংক। কিন্তু ঋণ থেকে যদি আয়ের পথই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সে ব্যাংকের পক্ষে আর টিকে থাকা সম্ভব হয় না। দেশের সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশী খাতের পাঁচ ব্যাংকের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। ফলে সুদ খাতে প্রতি বছরই লোকসান গুনছে এ ব্যাংকগুলো। যদিও সুদ খাতই যেকোনো ব্যাংকের আয়ের মূল উৎস।
ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ব্যাংকিং পরিভাষায় স্প্রেড হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ স্প্রেডে ঋণ বিতরণ করতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুর্দশাগ্রস্ত পাঁচটি ব্যাংকের স্প্রেড নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। নেতিবাচক ধারায় থাকা আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের স্প্রেড ঋণাত্মক ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। স্প্রেড ঋণাত্মক থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক, বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিদেশী খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান। ফারমার্স ব্যাংক থেকে নাম পরিবর্তন করে পদ্মা হওয়া বেসরকারি এ ব্যাংকের স্প্রেড ঋণাত্মক ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটির সুদ খাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি। ঋণ বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের শিকার হয়ে এ পাঁচ ব্যাংকই দীর্ঘদিন ধরে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিসহায়তায় কোনো রকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে এ ব্যাংকগুলো।