এ দেশে পদ সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজের বিকেন্দ্রীকরণ যেহেতু শুধু মুখে আছে, কাজে নেই—ফলে পদ হয়ে উঠেছে সব ক্ষমতার মূল। ঘাস কাটতেও তাই পদে থাকা ব্যক্তির অনুমোদন লাগে। তাতেই কি পদের প্রতি মোহ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে?
মোহ তখনই প্রবল হয়, যখন তাতে ক্ষমতার চূড়ান্ত চর্চা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদগুলোও সেভাবেই তৈরি। আমরা যতই নানা নীতির কথা বলি না কেন, আসলে একধরনের ‘সর্বময় ক্ষমতা’ প্রয়োগের উদাহরণ এ দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও একই ঐতিহ্যের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সবাইকে সমান চোখে দেখার এবং ন্যায়-অন্যায় বা ন্যায্য-অন্যায্যর শিক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষে গিয়ে তা পুঁথিগত বিদ্যাই হয়ে থাকছে।