দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি তাঁর পদ ‘প্রত্যাহার’ করে নিয়েছে। তাই ভোটের মাঠে দল হিসেবে বিএনপিকে পাশে পাননি। সঙ্গে ছিল না জোটসঙ্গীরাও। নির্বাচনী প্রচারণায় দলের শীর্ষ নেতার নাম তেমন উচ্চারণ করেননি। সব মিলে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়াকে সন্দেহের চোখেও দেখেছেন দলের কেউ কেউ। বিশ্বাস হারিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। হারলেনও অনেক ভোটের ব্যবধানে। সব মিলিয়ে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ‘বেশ খারাপ’ হয়ে গেল। বিএনপির এক নীতিনির্ধারকের ভাষায়, এক পরাজয়ে তৈমূর আলম খন্দকার অনেক কিছু হারালেন।
রবিবার অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমূর আলমের পরাজয়ের কয়েকটি কারণ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এর একটি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হতে না পারা। তাঁদের বিশ্লেষণ, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারত। তবে স্থানীয় সুধীসমাজের ব্যক্তিরা মনে করেন, ‘অগোছালো’ তৈমূর ভোটারের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। ফলে প্রার্থী হিসেবে তিনি সেলিনা হায়াত আইভীর চেয়ে ম্লান ছিলেন।