‘অব্যাহতি’ মানছেন না তুহিন, যুব মহিলা লীগে বিভেদ

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:২২

সাবিনা আক্তার তুহিনকে যুব মহিলা লীগের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটিতে বিভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতির পদে থাকা তুহিনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় গত ৩০ ডিসেম্বর।


তবে কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আক্তারের একক স্বাক্ষরে দেওয়া এই অব্যাহতির চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক সংসদ সদস্য তুহিন বলছেন, এই সিদ্ধান্ত তিনি মানেন না। তুহিনকে নিয়ে সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সমর্থন নেই বলে সংগঠনটিতে আলোচনা রয়েছে। তবে অপু এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।


বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ১৬ ডিসেম্বর ধানমণ্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি এবং পরে মারামারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগ নেতারা। পরদিন আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সভায় ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।


এর পরপরই তুহিনকে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। সেই নোটিসের জবাব তিনি না দেওয়ার পর সংগঠনের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেন নাজমা। কারণ দর্শানোর নোটিসে মারামারি ছাড়াও নরসিংদীর বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে তুহিনের আগেকার সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করা হয়, যা তখন অস্বীকার করেছিলেন তুহিন।


নোটিসে প্রথম কারণ হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে ‘অপমান, নাজেহাল’ করার কথা উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে চার বছরেও ঢাকা উত্তরে থানা, ওয়ার্ডে সম্মেলন না করে কমিটি গঠনে ব্যর্থতার কথা বলা হয়। তৃতীয় কারণ হিসেবে বলা হয়, “আপনার বিরুদ্ধে পাপিয়াকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। এর প্রকৃত ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা প্রদান করুন।” চতুর্থ ও শেষ কারণে নাজমা ওয়ান-ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ না নিয়ে ‘পালিয়ে বেড়িয়েছেন’ বলে যে বক্তব্য তুহিন দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।লিখিত জবাব ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে বলা হয়েছিল তুহিনকে। কিন্তু তিনি তা দেননি।


এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর নাজমা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতির পদ থেকে তুহিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, “সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল তাকে। ওই চিঠি কুরিয়ার সার্ভিস, হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেজের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। সাত কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো উত্তর না পাওয়ায় গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ও ১২(খ) ধারায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হল।”


এই সিদ্ধান্ত ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে’ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করছেন তুহিন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us