ভোট চুরি করলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেয় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার পদত্যাগের কথা স্মরণ করাতে চাই।’ ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন যারা করে তাদের আমরা জিজ্ঞাসা করি, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া কেমন ইলেকশন করেছিল? আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভুলে যান কী করে? কয় পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল? চার শতাংশ ভোটও পড়েনি। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোটের বাক্স সিল দিয়ে ভরে খালেদা জিয়া নাকি তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে কী হয়েছিল তার পরিণতি! তাদের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী তো তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। পদত্যাগে বাধ্য হয় গণআন্দোলনে। ভোট চুরির অপরাধে নাকে খত দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনে পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় আমাদের পারমিশন নিয়ে যেতে হয়েছিল। জনগণের পারমিশন নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। এটা বাস্তবতা।’