মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল আর ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের মধ্যে রাত-দিন পার্থক্য তৈরি করে ফেলেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথম টেস্টে হারের পর তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে, এটা জানা ছিল। কিন্তু এতটা মারমুখি ভঙ্গিতে দাঁড়াবে, তা হয়তো কল্পনাতেও ছিল না কারো। বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আগেরদিন জানিয়ে দিয়েছিলেন, টস জিতলে বাংলাদেশ বোলিংই নেবে। সেটা কী দেখে তারা আগে-ভাগে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তারাই ভালো জানেন। বোলারদের ওপর আস্থা রেখেই মূলতঃ এ সিদ্ধান্ত নেয়া।
তবে বোলাররা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হাত ফসকে যদি ক্যাচ বেরিয়ে যায়, তাহলে বোলারদের করার কিছুই থাকে না। বে ওভালে ব্যাটিং-বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংটাও ভালো ছিল। কিন্তু ক্রাইস্টচার্চে ফিল্ডিংয়ের যাচ্ছেতাই অবস্থা।
ফিল্ডিংয়ের সবচেয়ে বাজে অস্থা দেখা গেছে ২৬তম ওভারের শেষ বলে। এবাদত হোসেন ছিলেন বোলার। তার বলে কিউই ওপেনার উইল ইয়ং ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে ফিল্ডার ছিলেন লিটন দাস। ক্যাচটা তালুবন্দী করতে পারেননি। আউটসাইড অফের বল ইয়ংয়ের ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠলে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো লিটন বাম পাশে ডাইভ দেন প্রথম স্লিপের ওপর। বল তখন তার হাত ফসকে বল চলে যায় ফাইন লেগের দিকে। এ সময় দুই ব্যাটার দৌড়ে তিন রান নেন।
বাউন্ডারির একেবারে প্রান্ত থেকে বল থ্রো করেন ফিল্ডার তাসকিন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান বলটা ধরে রান আউটের লক্ষ্যে আবার থ্রো করেন বোলারস প্রান্তে। কিন্তু সেই বল লং অন দিয়ে সোজা চলে যায় সীমানার বাইরে। ফিল্ডার এবাদত দৌড়েও বলটি ধরতে পারলেন না। এক বল থেকেই নিউজিল্যান্ড পেয়ে গেলো ৭ রান।