আমাদের শরীরের এমন একটা অঙ্গ আছে, যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে। ঘুমের সময় পুরো শরীর স্থির হয়ে গেলেও তার কাজের বিরতি নেই। সেটা হলো হৃৎপিণ্ড। হৃৎপিণ্ড সারাক্ষণ সংকুচিত-প্রসারিত হয়ে দেহে রক্ত সরবরাহ করছে। পুরো দেহ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশ্রিত রক্ত এনে তা ফুসফুসে পাঠায় হৃৎপিণ্ড। ফুসফুসেই এই রক্ত অক্সিজেন মিশ্রিত হয়ে বিশুদ্ধ হয়। এরপর এই রক্ত আবারও হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে পুরো দেহের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে।
যা-ই হোক, হার্ট অ্যাটাক শব্দটা আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। এটা কিন্তু এমন নয় যে কিছু একটা হৃৎপিণ্ডকে আক্রমণ করে বসল। বরং ব্যাপারটা হলো, হার্ট অ্যাটাক হলে হৃৎপেশির কোষগুলো মারা যায়, কারও আক্রমণে নয়, অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের অভাবে। আর হৃৎপেশির এই মৃত্যুর জন্য দায়ী আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, যেমন চর্বিযুক্ত খাবার অতিরিক্ত খাওয়া, শরীরচর্চা না করা, ধূমপান করা। এসব কাজের জন্য করোনারি ধমনিতে কোলেস্টেরল জমা হয়, তৈরি হয় ফ্যাটি প্লাক।