বাংলাদেশ যখন নতুন শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, তখন শিক্ষার মূল দর্শন মাথায় রেখেই এ কাজ করা বাঞ্ছনীয়। ২০২৭ সাল নাগাদ নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ শেষ হবে বলে সরকার আশা করছে। পরিবর্তিত বিশ্বের জ্ঞান, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ও বিভিন্ন দেশের সফল শিক্ষাব্যবস্থাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ কাজ যদি নীতিনির্ধারকেরা সফলভাবে করতে পারে, দেশের উন্নয়নে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। বস্তুত, উন্নয়নের চেয়েও শিক্ষা বিষয়ে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা করা দরকার। শিল্পকারখানার, উচ্চতর বিজ্ঞান-গবেষণার ও কৃষিব্যবস্থার প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্যও থাকতে হবে শিক্ষাব্যবস্থায়। এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষা গবেষক ও শিক্ষা বিষয়ে যাঁদের চিন্তাভাবনা আছে ও উল্লিখিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া জরুরি।