বলা হয়, যখন কেউ নিরাপত্তা নিয়ে খেলে, নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে এবং নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাড়াহুড়ো করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে, দুর্ঘটনা তখনই ঘটে। এমভি অভিযান-১০ এর সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে এ সব মূর্খতাপূর্ণ কাজ প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোয় স্থলপথের পরিবহন খাতও জর্জরিত হয়ে আছে। এমন ট্র্যাজেডির যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে লক্ষ্যে সমস্যাগুলো স্পষ্টভাবে ও জরুরিভিত্তিতে সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা দেখে আমরা অবাক হচ্ছি।
আমরা আবারও বলছি, অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের প্রাণ হারানোর ঘটনাটি 'দুর্ঘটনা' নয়, হত্যাকাণ্ড। লঞ্চটির মালিক অনুমোদিত ইঞ্জিনের চেয়ে আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করেছিলেন। এটিই একমাত্র লঙ্ঘিত নিয়ম নয়। লঞ্চের ক্রুরা প্রশিক্ষিত ছিলেন না। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল, তবে সেগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা কেউ জানতেন না। এই ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন ব্যতিক্রম কিছু নয়, বরং এগুলোই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।