গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাব এবং বর্তমান ও সাবেক সাতজন র্যাব কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই সাথে বাংলাদেশের সদ্য সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের মার্কিন ভিসা বাতিল করে দিয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও পররাষ্ট্র দফতর মূলত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অজুহাতে এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানায়। তাদের অভিযোগ মতে, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ জনের নিখোঁজ এবং ২০১৮ সাল থেকে ৬০০ জনের নিহত হওয়ার জন্য দায়ী।
অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা যাই হোক, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় ‘একক পরাশক্তি’ যুক্তরাষ্ট্র যখন প্রয়োজন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই পারে; সেটি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক যেটাই হোক না কেন। কাজেই তারা চীন, উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশকেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত করল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কি অন্যের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক ভিত্তি আছে? প্রথমে তাদেরকেই আয়নায় তাদের চেহারাটা দেখা উচিত। তাদের ভ‚রাজনৈতিক ইতিহাস যে, লাখো-কোটি নিরীহ বনি আদমের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে তা তাদের অনুধাবন করা দরকার!