গত ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অপরাধীদের মধ্যে কোনো 'বন্দুকযুদ্ধ' হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ ডিসেম্বরের আগে 'বন্দুকযুদ্ধে' মানুষ হত্যা একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসার কয়েক ঘণ্টা আগেও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় র্যাব ও ডাকাত দলের মধ্যে 'বন্দুকযুদ্ধে' এক সন্দেহভাজন 'ডাকাত' নিহত হন। এর মাত্র ৪ দিন আগে ভোলায় এলিট ফোর্সের সঙ্গে এমনই আরেকটি 'বন্দুকযুদ্ধে' আরও ২ সন্দেহভাজন 'ডাকাত' নিহত হন।
কুমিল্লার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হত্যা মামলার ৩ আসামি গত বছরের ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর ভোরে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হন।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড এখন না হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে 'বন্দুকযুদ্ধের' নামে হত্যা করা কিংবা তা বন্ধ করা সম্পূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে।