চট্টগ্রামের প্রায় সব তৈরি পোশাক কারখানায় কয়েক মাস ধরে কর্মী নিয়োগের ব্যানার ঝুলছে। বাড়তি অর্ডারের চাপ সামাল দিতে লোভনীয় অফারেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত শ্রমিক। মালিকদের দাবি অনুযায়ী, সক্ষমতার ২০ শতাংশ ঘাটতি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে চট্টগ্রামের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে। অথচ এই মুহূর্তে এসব কারখানায় লাখো শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের হানার শুরুতে অনেকে চাকরি হারালেও হঠাৎ করে শ্রমিকের এত সংকট কেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের গার্মেন্টশিল্পে প্রচুর অর্ডার আসছে। বিশেষ করে ভিয়েতনাম ও ভারতে করোনায় বিপর্যস্ত সময়ে কারখানা বন্ধ রাখায় বায়াররা বিকল্প গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকেই বেছে নেয়। সক্ষমতা ও কমপ্লায়েন্স বিবেচনায় বায়ারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষেই থাকছে বাংলাদেশ। অর্ডারের চাপ সামলাতে প্রায় প্রতিটি কারখানায় লোক নিয়োগ চলছে।
এর মধ্যে অনেক কারখানা দুই শিফটে কাজ করছে। শিপমেন্ট ধরে রাখতে কাজের এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে দরকার হচ্ছে বাড়তি লোকবল। এর মধ্যে গত বছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাস হানা দেওয়ার শুরুতে পুরো দেশে একযোগে লকডাউনের কারণে গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া নারী শ্রমিকদের প্রায় ১৫ শতাংশ আর ফিরে আসেনি। করোনায় চাকরির অনিশ্চয়তায় অনেকে বিয়ে কিংবা স্থানীয়ভাবে কাজে যুক্ত হয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়েছে। এ কারণেই সংকট আরো তীব্র হয়েছে।