কয়েক বছর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে একজন ছাত্রী তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর কাউকে জানায়নি। মেয়েটির পরিবারও জানতো না। এমনকি মেয়েটির রুমমেটরাও তার শারীরিক অবস্থা বুঝতে পারেনি। রুমের মধ্যে মেয়েটি সন্তান প্রসব করার পর কাউকে না জানিয়ে সন্তানকে ট্রাংকের ভেতর লুকিয়ে রাখে। পরে রুমমেটরা রুমে ফিরে এলে ট্রাংকের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ পায়। পরে সেই ট্রাংক ভেঙে দেখা যায় সেখানে একটি বাচ্চা রয়েছে। তবে দীর্ঘক্ষণ ট্রাংকের ভেতর থাকায় অক্সিজেনের অভাবে বাচ্চাটি মারা যায়। পরে জানা যায়, মেয়েটির বিয়ে এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয় প্রকাশিত হলে হল কর্তৃপক্ষ তার সিট বাতিল করে দেবে- এই ভয়ে মেয়েটি হল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে রুমমেট কাউকে জানায়নি। কিন্তু এই গোপনীয়তা পরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোতে আসন বণ্টন সম্পর্কিত নীতিমালায় আছে, ‘কোনও ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’ তবে ছাত্র হলগুলোতে এই ধরনের কোনও নীতিমালা নেই।