নির্বাচন শব্দটির আগে কোনো বিশেষণ সাধারণত আমি প্রয়োগ করি না। কেননা এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ শব্দ। এর অর্থ, যেকোনো বৈধ দল বা মতের লোক নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। ভোটাররা পাবেন তাঁদের পছন্দসই ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার সুযোগ। প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পাবেন প্রচার-প্রচারণার সুযোগ। ভোটাররা তাঁদের অধিকার প্রয়োগে অবারিত সুযোগের পাশাপাশি নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও এর পরে থাকবেন নিরাপদ।
এ সবকিছু মিলিয়েই নির্বাচনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। যেসব দেশ এটা অব্যাহতভাবে চর্চা করে যাচ্ছে, তারা এর ভিন্নটা ভাবতে পারে না। আর এ সবকিছু মিলিয়েই একটি নির্বাচন দেশ ও বিদেশে পায় গ্রহণযোগ্যতা। ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের দেশে এ ধরনের নির্বাচনের পরও মন্দ রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য পরাজিত দল ক্ষীণ কণ্ঠে হলেও কারচুপির অভিযোগ করে। তবে পানি পায় না হালে। তাই নির্বাচন শব্দটির আগে গ্রহণযোগ্য বিশেষণ যুক্ত করার পেছনে রয়েছে আমাদের অর্ধশতকের বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন দেখার অভিজ্ঞতা।