র্যাব এবং এই বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘কর্তৃত্ববাদী’ শাসনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টির সূচনা হিসেবে দেখছে বিএনপি। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই চাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে দলটি। তবে এই নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত লক্ষ্য ও ফলাফল সম্পর্কে বিএনপি এখনো পরিষ্কার নয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পাঁচজন নেতা বলছেন, নিষেধাজ্ঞায় কেবল একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং এর সাতজন কর্মকর্তার গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। আর এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সরকারের অভিপ্রায়ে এবং ক্ষমতার স্বার্থে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দেশের প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করাসহ সরকারের দুনীতি ও দুঃশাসনের আরও অনেক কিছুই রয়ে গেছে।
তবে তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশে সংঘটিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের বিষয়টি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও আলোচিত হচ্ছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে আরও কিছু রয়েছে কি না, এ মুহূর্তে তা বিবেচনায় নিতে চান না তাঁরা।