দেখুন দুই পক্ষের দুই রকম কথা। আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসাবে যারা কথা বলছেন, তারা বলছেন খালেদা জিয়া দেশের কোন 'সাবজেক্ট' না। যারা দেশেকে অস্থিতিশীল করতে চায়,অসুস্থ একজন প্রবীণ নারীকে নিয়ে,এরা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। আবার বিএনপি'র সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়; তিনি বলছেন, আমাদের আসল আন্দোলন হচ্ছে সরকার পতনের আন্দোলন।
আবার দেখলাম, আমানুল্লাহ আমান সাহেব বললেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির ভেতরেই হাসিনাকে টেনে হিঁচড়ে নামাবেন। ভাষাটা হলো হাসিনাকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যদি না পছন্দ হয় তার, তিনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং এ দেশের প্রবীণ একজন রাজনীতিবিদ । এই জাতীয় ভাষাটা ব্যবহার করছেন তারা । তারা চাচ্ছেন খালেদা জিয়াকে ঘিরে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারেন কিনা।
আমি একটা সাধারণ কথা বলি। বেগম খালেদা জিয়া যখন গভঃমেন্টের কাস্টডিতে ছিলেন,বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে,তখন কিন্তু প্রতিদিন হাসপাতালের একটা টিম প্রেসকে ব্রিফ করলেন,খালেদা জিয়ার আজকের শারীরিক অবস্থা এই, এই অবস্থা,এই অবনতি এই উন্নতি আছে। যখন তিনি মুক্ত হয়ে গেলেন, তার সাজা স্থগিত হয়ে গেল, তখন তিনি নিজের মত করে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন । সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন নিজের পছন্দের ডাক্তারদের দ্বারা। মাঝে একটা ব্রিফিং হলো ছয়জন ডাক্তারের। এর একজনো এভারকেয়ার হাসপাতালের ডাক্তার না । প্রশ্নটা উঠলো তাহলে যে,হাসপাতালে আছেন সেখানকার ডাক্তাররা কেন বলতেছেন না খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এইরকম। যাদের দিয়ে বলালেন,ড্যাবের প্রধান প্রফেসর জাহিদ সাহেবসহ ড্যাবের ডক্টররা । এখন উনাদের কথাও তো মানুষ বিশ্বাস করছে না যে,ওনারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা যা বলছেন,এটা উনারা জানলেন কোথা থেকে?