ধানমন্ডি লেকে নিয়মিত হাঁটেন তাঁরা। হাঁটা শেষে বজরায় বসে আড্ডা। ঘড়িতে সময় তখন ৭টা ছুঁই ছুঁই, সকাল। আড্ডায় বসেছেন আটজন। সবাই পঞ্চাশোর্ধ্ব। আড্ডার বিষয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। পোশাক ও কথাবার্তায় অনুমেয় তাঁরা সবাই উচ্চশিক্ষিত ও ধনী।
আলোচনা শুরু হয়েছে এক ব্যক্তির নাতি ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে আন্দোলনে গিয়েছে, এ নিয়ে। এটা তাঁর একদমই পছন্দ নয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করা কি উচিত? এ নিয়েই আলোচনা।
আন্দোলনের পক্ষের একজন বলেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলন বলেন আর মুক্তিযুদ্ধ; সবটাতেই কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল শক্ত।’ বিপক্ষের যুক্তি, ‘আন্দোলন করার জন্যও একটা বয়স লাগে। স্কুল ড্রেস পরে তো আর আন্দোলন হয় না।’ আলোচনা জমে ওঠে আরও। দেশের প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়েও কথা হলো। একজন বললেন, ‘এই দেশের কিছুই হবে না। আইন করে কী লাভ? কেউ আইন মানে? একবার জার্মানি গেলাম, সেখানে দেখলাম, গ্রামে যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানেও কেউ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে না।’