আওয়ামী লীগ মনে করে সংলাপের মাধ্যমে অধিকতর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব। আর আওয়ামী লীগের শরীকেরা চান নির্বাচন কমিশন আইন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানিয়েছে, ২০ ডিসেম্বর সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হবে। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে গতবার যে ৩১টি দলকে ডাকা হয়েছিলো তারা আমন্ত্রণ পাবেন আগে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, গণভন থেকে তাদের ২০ ডিসেম্বর বিকেলে সংলাপের কথা জানানো হয়েছে। তারা সংলাপে যাবেন। তবে এখনো চিঠি না পাওয়ায় সংলাপে নির্বাচন কমিশনের কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা তারা জানেন না৷ তিনি বলেন," চিঠি পাওয়ার পর আমরা আমাদের আলোচনার অবস্থান ঠিক করব। কোন বিষয়ে জোর দেবে সে সিদ্ধান্ত নেব।
নির্বাচন কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও স্বাধীন করার জন্য আমরা আগেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইনের দাবি করেছিলাম। আমাদের সে দাবি তো মানা হল না। সেই দাবি আমরা আবারো তুলব।” সংলাপে কত সদস্যের প্রতিনিধি দল যেতে পারবে তাও এখনো জানানো হয়নি বলে জানান জাতীয় পার্টির এই নেতা। এদিকে বিএনপিও এখনো সংলাপের কোনো চিঠি বা মৌখিক আমন্ত্রণ পায়নি। দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন,"আমরা চিঠি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাব কী না। তবে গতবারের সংলাপে কোনো লাভ হয়নি।