উৎসবের দিনগুলো একাই পালন করে লরা। এই পৃথিবীতে আপন কেউ নেই তার।বিদেশের এক ডরমেটরিতে গিয়ে এই সত্যটা জানতে পারে বাংলাদেশি তরুণী জুঁই। মা-বাবা হারা লরার প্রতি অদ্ভুত মায়া হয় জুঁইয়ের। এ জন্য লরাকে পহেলা বৈশাখ দেখাতে বাংলাদেশে নিয়ে আসে জুঁই।
বাংলার রূপ-বৈচিত্র্য দেখে বিস্মিত হয় লরা। এক সময় জুঁইকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশ দেখতে। জঙ্গল, পাহাড়, চা-বাগান, সমুদ্র, নানা খাবার, বিয়েবাড়ি, বাউল গান- সর্বোপরি বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য, মানুষের আতিথেয়তা, খাবারের স্বাদ মুগ্ধ করে লরাকে। সাকরাইন উৎসবে আলো-আঁধারির মাঝে দাঁড়িয়ে লরার মনে হয়, বাংলার এই সৌন্দর্য সে কখনও ভুলতে পারবে না। আবার বিস্তৃত সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, এটাই তার বাড়ি, এটাই তার ঠিকানা।