খালেদা জিয়া ছিলেন রাজনৈতিক নেত্রী। তাঁর দল বিএনপি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রাজনৈতিক সার্কাসের নায়িকা করে ছেড়েছেন। এখন বোঝা গেল বিএনপির হাতে আন্দোলন পরিচালনায় কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই। তাই গুরুতর দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকেই তাঁর গুরুতর অসুস্থতার কথাই ঢাক পিটিয়ে বলা হচ্ছে। বিএনপির দাবি সত্য হলে খালেদা জিয়ার এত রোগ নিয়ে বেঁচে থাকার কথা নয়। কিন্তু তিনি সব অসুস্থতা নিয়ে বেঁচে আছেন। সুস্থ হওয়ার জন্য তাঁকে জামিনে মুক্তিদান করেছে সরকার। এখন বিএনপির তত্ত্বাবধানেই খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কিত বিএনপির চিত্কার থামেনি। এখন দাবি তোলা হয়েছে দেশের উচ্চ আদালত দুর্নীতির দায়ে তাঁকে যে দণ্ড দিয়েছেন সেই দণ্ড মওকুফ করে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার অনুমতি সরকারকে দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাদণ্ডও মওকুফ করে দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি খালেদা জিয়ার জন্য তাঁর ক্ষমতানুযায়ী যতটা পেরেছেন ততটা করেছেন। তাঁর মানবিক সহানুভূতির জন্যই খালেদা জিয়া আজ জামিনে মুক্ত। কিন্তু উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারেন একমাত্র উচ্চ আদালতই।