সংবিধান, আইন, রাজনীতি সবই সংসদকে ঘিরে চলবে এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল কথা। কিন্তু রাজনীতি এখন সংসদের বাইরে। সংসদ অথবা সংসদের বাইরে যেখানেই হোক, রাজনীতির একটি নিজস্ব চরিত্র আছে। রাজনীতি মানে কিছু আদর্শ বা নীতির আলোকে জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার এক কৌশল। কাজেই, রাজনীতিতে এক পক্ষের আদর্শের সঙ্গে আরেক পক্ষের আদর্শগত তফাৎ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই রাজনৈতিক বিরোধিতা। রাজনৈতিক বিরোধিতা রাজনীতির সৌন্দর্য। তাই রাজনৈতিক আদর্শ প্রচারের কৌশলও হওয়া চাই সৌন্দর্যমণ্ডিত। শিষ্টাচারের মাধ্যমেই রাজনৈতিক বিরোধিতা প্রকাশ করতে হবে। উন্নত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিগুলোতে এটাই হয়। অতীতে আমাদের দেশেও তাই হয়েছে।
রাজনীতি ও গণতন্ত্রের নিম্মগামী প্রবণতায় সব কিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাজনীতিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা বাদ পড়ে সেখানে ফটকাবাজ ও হাইব্রিড রাজনীতিকরা ঢুকে পড়ে। এর ফলে শত বছরের একটি পুরনো রাজনৈতিক দলও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চাকচিক্যময় চেহারার অন্তরালে ভেতরে ভেতরে দলের মৌলিক চেতনায়ও ফাটল ধরতে পারে। এরা দল থেকে যা নেওয়ার নিয়ে স্বার্থ উদ্ধার হলে কেটে পড়ে। এরাই শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ ও খালেদা জিয়ার চেয়ে বেশি বিএনপি।