লাবণী-পারুল (ছদ্ম নাম) দুই বোনের দেখা হওয়ার কথা ছিল যশোরের এক গ্রামে অথবা ঢাকায়। অথচ দেড় বছর পর দেখা হয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ের যৌনপল্লিতে।
দুজনের কেউই জানত না, অন্য বোনটি তার মতোই পাচার হয়েছে। আশ্চর্য এই সাক্ষাৎপর্ব বিস্ময়ের চেয়ে বেশি বেদনার। মাত্র ১৪ বছরের ছিপছিপে শ্যামলা মেয়ে লাবণী আক্তার সব সময় চোখে কাজল পরতে ভালোবাসত। বাড়ির সামনে কাকচক্ষু জলের পুকুরে দাপিয়ে বেড়ায়। এই মেয়ের জীবন মাত্র কয়েক দিনে বদলে গেছে পুরোপুরি। লাবণী এখন জানে, সব ইচ্ছের মৃত্যুর পরও মানুষ বেঁচে থাকে।