গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে ন্যাশনাল গার্ল চাইল্ড অ্যাডভোকেসি ফোরাম বাংলাদেশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম ৮ মাসে ৭৯ প্রতিবন্ধী মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া খুব কঠিন। প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাধা আছে, বিশেষ করে যদি তাদের বুদ্ধি, বাক, শ্রবণ ও মনঃসামাজিক প্রতিবন্ধিতা থাকে। নানাভাবে শিশু যৌন নির্যাতন ঘটে—অনুপযুক্ত স্পর্শ থেকে শুরু করে ধর্ষণ তার অন্তর্ভুক্ত। বাড়ি, স্কুল, খেলার মাঠ, কর্মক্ষেত্র, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি স্থানে শিশুরা নির্যাতিত হয়।
যৌন নির্যাতন শিশু অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিশু যৌন নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনা পরিবার গোপন করে; প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে এ হার আরও বেশি। আইনি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধী শিশুরা কাঠামোগত বৈষম্যের শিকার হয়। এ জন্য নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার এ নিয়ে কোনো কথা বলতে বা পদক্ষেপ নিতে চায় না। এতে প্রতিবন্ধী শিশুদের যৌন নির্যাতনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই লেখার শুরুতে ধর্ষণের যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকৃত পরিস্থিতি তার চেয়ে ভয়াবহ।