সম্প্রীতি শব্দটি সম্পর্কের দিক থেকে বহুমাত্রিক। ব্যক্তিক, পারিবারিক ও সমষ্টিগত বিচারে তা ধর্মীয় সম্প্রদায়গত, শ্রেণিগত, জাতিগত, এমনকি রাষ্ট্রিক ও বৈশ্বিক। যে কোনো সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতি-রাষ্ট্র গঠনের জন্য ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সম্প্রীতির পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান জনশক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। উন্নয়ন বা সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্প্রীতি, আধুনিক জ্ঞান ও কর্মনৈপুণ্য একটি অপরটির পরিপূরক।
এ তিনটি সমন্বয় ছাড়া উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। কেননা, এর একটির ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় জীবনের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে বাধ্য। এই স্থিতিশীলতার জন্য দেশের জনগণের মধ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও জাতীয় দায়বদ্ধতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যা শুধু উন্নয়ন চিত্র দিয়ে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। একটি জাতির সমষ্টির মনন জগৎ সমৃদ্ধ না হলে ওই জাতি বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যতই উন্নতির আবরণে আবিষ্ট হোক না কেন, প্রকৃতার্থে ওই জাতি সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে না।