স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনের অন্যতম একটি বাগ্বিতণ্ডার বিষয় ছিল জলবায়ু তহবিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে, তা নির্ধারণ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দরিদ্র দেশের জন্য ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের পেছনে কোন দেশের ঐতিহাসিক দায় কতটুকু, তা নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের হারও শনাক্ত করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বড় অংশজুড়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশের বসবাস। অথচ এ দেশগুলোই বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের ৫০ শতাংশের জন্য দায়ী। ১৭০ বছর ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে দেশগুলো। এ সময়ের মধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বেড়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। আর এর ফলে বিশ্বে ঘটছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা ও দাবানলের ঘটনা।