সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কুমিল্লার মণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার পর হামলার ঘটনা প্রশাসনের ব্যর্থতা ছিল। এ হামলা পরিকল্পিত মনে হয়েছে। সুতরাং এটাকে হালকা করে দেখার কিছু নেই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ আর যেন না হয়, তার গ্যারান্টি অর্জন করা দরকার। এ সহিসংসতা শেখ হাসিনা সরকারের জন্য এটা একটা বড় হুমকি। শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক সরকারকে যদি এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে অসাম্প্রদায়িক প্রশাসন দরকার। ইনু গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন। ইনু বলেন, আরেকটি বিষয় আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে সেটা হচ্ছে যে, ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন হলো। অথচ ৫০টি জায়গায় আক্রমণের শিকার হলো কেন? প্রশাসন আটকাতে পারলো না কেন? এই কেন’র উত্তরটা তদন্ত করে দেখা উচিত। বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং অবিলম্বে এসব হামলাকারী ও তাদের নেপথ্য শক্তিকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি। এ সময় কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহা উদ্দিন বাহার, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শান্তি পরিষদের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেইন, জাসদ সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মমতাজ হোসেইন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বিশিষ্ট গবেষক ড. বীণা শিকদার, ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা শ্রী পার্থ সারথি চক্রবর্তী, শান্তি পরিষদ সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আসলাম খান, শান্তি পরিষদ সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, ডা. আরিফ জুবায়ের প্রমুখ