কিছু দিন আগে সারাদেশ সোচ্চার ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নানা ব্যর্থতা অদক্ষতা,অযোগ্যতাসহ স্বাস্থ্য খাতের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে। করোনাকালীন দেড় বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এতই ‘উদ্ভাসিত’ করে রেখেছিল যে আর সব মন্ত্রণালয়ের ‘বীভৎস’ ব্যর্থতা কারও নজরেই আসেনি। তখনও লিখতে গিয়ে এক জায়গায় বলেছিলাম, কেবল করোনাকাল বলেই সবাইকে ছাপিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতাটাই আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। না হলে ব্যর্থতার প্রতিযোগিতায় কোনও মন্ত্রণালয়ই পিছিয়ে নেই। করোনা কমে আসায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেমন কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা প্রতিদিনই আরও বেশি করে দৃশ্যমান হচ্ছে।
গত ক’দিন ধরে আলোচনা দখল করে আছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি। ইভ্যালি ই-অরেঞ্জ এই প্রতারক কোম্পানিগুলো সম্পর্কে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একমাত্র সদস্য হিসেবে প্রশ্ন তুলেছিলাম আমি। বলেছিলাম প্রতিযোগিতা কমিশনের ব্যর্থতা, প্রতিযোগিতা আইনের ব্যবহার ইত্যাদি নিয়ে। তবে আমার মূল দাবি ছিল সরকারের ব্যর্থতার কারণে সাধারণ মানুষের যে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, সেই টাকা সরকারকেই ফিরিয়ে দিতে হবে।