মানুষের উপকার করতেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক। ব্রিটিশ শাসনকালে অবিভক্ত বাংলার রাজনীতিতে ছিলেন শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আইনজীবী হিসেবেও সুনাম ছিল। কলকাতায় শক্ত ঘাঁটি ছিল শেরেবাংলার। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৭ সালের আগে তাঁর কলকাতার বাড়ি সব সময় জমজমাট থাকত। সারাক্ষণ মানুষে গমগম করত। ঢাকা, বরিশালসহ পূর্ব বাংলার লোকজন গেলে বিপদে-আপদে সহায়তা পেতেন। শেরেবাংলাকে নিয়ে অনেক ধরনের মিথ আছে। তিনি ৪০টি ফজলি আম একসঙ্গে খেতে পারতেন। ভোজনরসিক ছিলেন। নিজে খেতেন, অন্যকে খাওয়াতেও ভালোবাসতেন। মামলা-মোকদ্দমায় পাশে থাকতেন গরিব মানুষের। পাশে দাঁড়াতেন কৃষকের। একবার একজন তাঁর কাছে গিয়ে আর্থিক ১৫ টাকা সাহায্য চাইলেন। তখন ১৫ টাকা অনেক। শেরেবাংলা বাড়ির ভিতরে গেলেন। নিয়ে এলেন ২০ টাকা। সে টাকা লোকটির হাতে দিলেন। লোকটি বলল, আমি তো ১৫ টাকা চেয়েছিলাম। আপনি দিলেন ২০ টাকা। ৫ টাকা বেশি কেন? জবাবে শেরেবাংলা হাসলেন। তারপর বললেন, প্রতিদিন অনেক মানুষ আমার কাছে সাহায্যের জন্য আসে। কমবেশি সবাইকে চেষ্টা করি সহায়তা করতে। পরে দেখি যাদের সহায়তা করলাম তারা আমার বিরোধিতা করছে। আড়ালে গিয়ে কথা বলছে। মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। কীভাবে ক্ষতি করবে সেই চিন্তা করছে। এমনকি ভোট এলে সবার আগে সহায়তা গ্রহণকারী মানুষটি বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। উপকার করলে এ দেশে বাঁশ খেতে হয়। এ কারণে ৫ টাকা আগাম দিয়ে রাখলাম তোমাকে। বাড়তি টাকা দিয়ে বাঁশ কিনে রাখবে। তুমি যখন আমার বিপক্ষে যাবে তখন বাঁশ দেওয়ার জন্য নতুন করে টাকা সংগ্রহ করতে হবে না। কারও কাছে নতুন করে ধারকর্জ করতে হবে না। আমার টাকায় কেনা বাঁশ আমাকে দিয়ে দেবে। এ কারণে আগেই ৫ টাকা বেশি দিয়ে রাখলাম।