চলছে ইউনিয়ন নির্বাচন মৌসুম। সরকারের তৃণমূলের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে গ্রামগঞ্জের হাটে, মাঠে, চায়ের দোকানে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। একদিকে প্রার্থীর তৎপরতা, অন্যদিকে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস, দুই মিলে যেন উৎসবের আমেজ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য এসব তৃণমূল প্রার্থীরা সারাবছর লবিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। উপর মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করতে যারপর নাই মরিয়া। কিভাবে ভোটের প্রার্থী হওয়ার টিকেট পাওয়া যাবে, সেই কাজেই মূলত এদের মনোযোগ বেশি থাকে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলের অফিসে বেড়ে গেছে প্রার্থীদের আনাগোনা। সারাবছর এমপি-মন্ত্রীদের বাসভবন বা কার্যালয়ে ধর্না দিলেও এখন তাদের দেখা যাচ্ছে দলীয় কার্যালয়ে। কারণ একটাই, কোন ভাবে যদি দলীয় নেতা-নেতৃত্বদের খুশি করে একটা মনোনয়ন ট্রাম কার্ড পাওয়া যায়।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়াকেই অনেকে বিজয়ী মনে করছেন। অবশ্য এর কারণও আছে। গত পৌর নির্বাচনের দলীয় মেয়র প্রার্থীদের প্রায় সকলে বিজয়ী হয়েছে। এ দৃষ্টান্ত সকল ইউনিয়ন নির্বাচন প্রার্থীদের মনোবল আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে দলীয় মনোনয়ন পেতে সর্বস্ব বিনিয়োগ করছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। অনেকেই দল বদলের অগ্রযাত্রায় শরিক হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া মনোনয়ন পত্র বিক্রিতে আর কোন দল অংশগ্রহণ করেনি। সুতরাং অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনক্ষুণ্ণ হয়ে দলবদল করে ক্ষমতাসীন দলে ভিড়তে শুরু করেছেন। নব্য দলভারি করা প্রার্থীরা মরণকামড় দিতে নিজেদের মনোনয়ন পত্র নিলামে কিনে নিচ্ছেন। যে যত বেশি লবিং করছেন তার মনোনয়ন পাওয়ার অগ্রাধিকার তত বেশি। ফলে দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে থাকা বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা ছিটকে পড়েছেন। আবার এলাকায় সুনাম থাকা সৎ-নিষ্ঠাবান নেতাও বাদ পড়ে যাচ্ছেন এই মনোনয়ন দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে।