অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে স্যুটকেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে সকলেই একটি স্যুটকেস নিয়ে অভিবাসন করেছেন। যারা অভিবাসন করেন তাদের স্যুটকেস যত্নে থাকে। ভাঙলেও সেটি রিপিয়ার করে সঙ্গে রাখেন। কারণ সেটি একটি স্মৃতি! স্যুটকেস মায়েদেরও একটি প্রিয় স্মৃতি। বিয়ের পর যখন সংসার করতে স্বামীর বাড়ি যান তখন ওই স্যুটকেসটা নিয়ে নতুন সংসারে আসেন এবং বাবার বাড়ির স্মৃতি হিসেবে সেটি অনেক যত্ন করে রাখেন। সুটকেস নিয়ে আমাদের আছে অনেক অজানা আবেগময় কাহিনি।
এই স্যুটকেস বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। এর পরেই জিয়ার মহিমা বিবরণ দিতে ভাঙা স্যুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জির কথা বলে জনগণের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করতে জিয়ার সৈনিকেরা উদ্যোগী হন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এটাই ছিল স্যুটকেস কাহিনি। এই স্যুটকেস আবার রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার হয়ে ওঠে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে অপদস্থ করতে। তিনি নাকি এক স্যুটকেস ভর্তি করে সাড়ে তিন কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এরপর এলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। তাকে যখন বিদেশ পাঠানো হচ্ছিল তখন নাকি তিনি ৪০টি স্যুটকেস নিয়ে যাত্রা করেছিলেন।