বাংলাদেশের যে অগ্রগতি আমরা লক্ষ করছি, বিশেষ করে গত এক যুগ ধরে এতে প্রধানত দুটি বিষয় কাজ করেছে। একটি হচ্ছে নেতৃত্ব অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণকামী চিন্তা-চেতনা উদ্ভূত নীতিকাঠামো ও পারিপাশির্^কতা আর অপরটি হচ্ছে সেই অনুকূল পরিবেশে মানুষের শ্রম তথা কৃষক, কৃষিশ্রমিক, শিল্প ও অন্যান্য শ্রমিক, উদ্যোক্তাদের শ্রম। বিশেষ করে অতি ক্ষুদ্র (সরপৎড় বা অণু) উদ্যোক্তারা যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য যারা বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় শ্রম ও নেতৃত্ব দেন তাদের কারণেও উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে।
সঠিক নেতৃত্ব না থাকলে অনুকূল পারিপাশির্^কতা সৃষ্টি হয় না এবং অগ্রগতি হওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। আমি মনে করি উন্নয়নের অগ্রগতির জন্য অনুকূল পারিপাশির্^কতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে এটি কেমন করে তৈরি হলো? ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে একটি অঙ্গীকার করা হয়। সেটি হচ্ছে এ দেশে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র তৈরি করা হবে। এই অঙ্গীকারের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশ ও অন্যান্য খাতে যে কার্যক্রমগুলো শুরু করা হলো ২০০৯ সাল থেকে, সেই ধারাবাহিকতায় দেশ এগিয়ে চলে।