কেরানীগঞ্জে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্খিত’ বলে অভিহিত করেছেন নসরুল হামিদ বিপু। সেই সঙ্গে হামলার ঘটনায় লজ্জিত ঢাকা-৩ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। একই আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। সকাল ১১টায় বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নয়া পল্টনে গয়েম্বর চন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। তিনি সরাসরি চেম্বারের পাশে তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই সময়ে মাথায় ব্যান্ডে লাগানো গুরুতর আহত গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বসে ছিলেন। সালাম দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বিপু দাদা সম্বোধন করে তার পাশেই বসেন। গয়েশ্বর রায়ের কাছে ঘটনার বিবরণও শুনেন। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে নিজের কক্ষ থেকে বেরিয়ে চেম্বারে আসেন। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।এসময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, দাদা (গয়েশ্বর রায়) দীর্ঘদিন এখানে রাজনীতি করছেন। উনি আমার থেকে অনেক সিনিয়র এবং উনি আমাদের গুরুজন। গতকালকে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটা ঘটে গেছে আমরা সকলে লজ্জ্বিত এই বিষয়টা নিয়ে। ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রাতেই তিন জনকে ধরেছে। আমরা মনে করি যে, আমরা যেকোনো এই ধরনের খারাপ পরিস্থিতি মোটেও প্রশ্রয় দেয়নি, কোনো দিন আগেও দেইনি, এখনো ঘাটতি হবে না। সে যে দলের হোক না কেনো আমার দলের হোক অথবা অন্য কোনো দলের হোক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বলব তারা যেন সেই ভাবে ব্যবস্থা নেয়।বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিরতিহীনভাবে ৫৩ বছর রাজনীতি করি। জাতীয় পর্য়ায়ে নেতৃত্ব দিলেও স্থানীয় পর্য়ায়ে কমতি ছিলো না। আমরা একটা আত্মবিশ্বাস ছিলো যে কেরানিগঞ্জের লোকজন কখনো কেউ আমাকে অসন্মান করবে না। কারণ দলমতনির্বিশেষে কেরানিগঞ্জের প্রতিটা মানুষের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে।এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।