উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আমার চারটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। করোনা পরিস্থিতির আগে সব শাখা মিলিয়ে আমার প্রায় সাড়ে ৪শ’ শিক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে একটি ছিল নতুন শাখা। ওই শাখায় কেবলই শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু করোনা এসে সব থামিয়ে দেয়। করোনা পরিস্থিতির এই দেড় বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাবদ আমি প্রায় ২ লাখ টাকার মতো দায়গ্রস্থ হয়ে পড়েছি। দুটি শাখা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বাকি দুটো শাখা বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।
ভেবেছিলাম স্কুল খুললে হয়তো শিক্ষার্থী মুখর হয়ে উঠবে আমার বিদ্যালয়গুলো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তিনভাগের দুই ভাগ শিক্ষার্থীই আমরা হারিয়েছি। সামনে কি হবে জানিনা। শিক্ষার্থী হারিয়ে এভাবেই দুরবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কবি নজরুল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম।