আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন একটি সমাজ সৃষ্টি করা। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা এখন বাজার অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কারণ ও ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায় না, বাজার অর্থনীতি সমাজের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্রের আয় ও সম্পদের একটি কাঠামো গড়ে তুলবে, যা সমাজের আকাক্সক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। এ কারণেই দুনিয়ার সব দেশে পুনর্বণ্টনমুখী করা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
গত ৩০ বছরে বাজারকে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজারের ওপর এ অনাস্থার জন্য কিছু দেশের অভিজ্ঞতাকে দায়ী করা হয়। এ সত্ত্বেও এ রকম বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যায়। দৃষ্টান্তস্বরূপ ২০০৭ সালে ফ্রান্সের জনগণের ১ শতাংশ যারা সর্বোচ্চ বেতন পেত, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সমপর্যায়ের ব্যক্তিদের তুলনায় মোট জাতীয় আয়ের হিস্যার অর্ধাংশ লাভ করত।