বরিশালের ঘটনা এবং পরীমণির মামলা এই দুটি ব্যাপারই প্রমাণ করে বাংলাদেশে অবিলম্বে একটি গণতান্ত্রিক এবং শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। দীর্ঘকাল রাজনীতির মাঠ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক রাজনীতির শূন্যতা ধর্মীয় রাজনীতি এসে ফের দখল করে নিতে চাচ্ছে। আফগানিস্তানে তালেবান রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার প্রভাব বাংলাদেশেও যে এসে পড়বে, এ আশঙ্কা খুবই স্পষ্ট। বাংলাদেশের যেসব বামপন্থি দল যেমন রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, ইনুর জাসদ, বাসদ, সিপিবি এবং সমমনা অন্যান্য দলের উচিত, অবিলম্বে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কথা ভুলে একটি মাত্র লক্ষ্যে বাংলাদেশে আমলাতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা রোখাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক মোর্চা গঠন। মন্ত্রিত্বের নেশা এবং আগামী নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ের আশা ত্যাগ করে তারা যদি বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট গঠন না করেন, তাহলে আগামী নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ শক্তি একটা ওয়াকওভার পাওয়ার সুযোগ নেবে।