গত ২৬ জুলাই আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার বাদী ও বিবাদীর ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এ মামলার উদ্ভব হয়েছে। পরে বাদী-বিবাদী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আসামিদের অভিযুক্ত করার মতো যথেষ্ট প্রমাণাদিও পাওয়া যায়নি। সমঝোতায় বাদী-বিবাদী বলেছেন, তদন্তের ফলাফল তাঁরা মেনে নেবেন এবং পরবর্তীকালে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না।
ঘটনার বিবরণ থেকে অন্তত দুটি তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে; ১. আপসরফায় প্রমাণিত হয় কিছু একটা অপরাধ ঘটেছিল এবং ২. অপরাধটি হচ্ছে হত্যাচেষ্টা, যা গুরুতর অপরাধ এবং আইনে এর সম্ভাব্য সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ফৌজদারি কার্যবিধিতে আপস অনুমোদনের সুযোগ খুবই সীমিত এবং ৩৪৫ ধারায় যেসব অপরাধের তালিকা দেওয়া আছে, তার বাইরে কোনো অভিযোগে আপস-রফা গ্রহণের সুযোগ নেই। ওই তালিকায় হত্যাচেষ্টার কথা নেই। বেআইনিভাবে আটক রাখার অংশটুকুকে ভুল-বোঝাবুঝি হিসেবে চালিয়ে দেওয়া গেলেও হত্যাচেষ্টা কীভাবে আড়াল করা যাবে?