এটি মোটামুটি প্রমাণিত- বাচ্চারা, একেবারে শিশুকাল থেকে অন্তত ১০-১২ বছর পর্যন্ত, বাবা-মায়ের পর যাদের কথাকে সবচেয়ে বেশি, ক্ষেত্রবিশেষে বাবা-মায়ের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং যাদের দ্বারা সর্বাধিক প্রভাবিত হয়, তারা আর কেউ নন; তাদের শৈশব-কৈশোরের শিক্ষকমণ্ডলী। তাদের কোমল মনে প্রিয় শিক্ষকদের কথাবার্তা, আদেশ-উপদেশ, আচার-আচরণ, শাস্তি-পুরস্কার ইত্যাদি এমনই অনপনেয় প্রভাব ফেলে যে, তাকে সারাটা জীবন বহন করে তার চেতন-অবচেতনে, চিন্তা ও কর্মে। এটা অপ্রিয় হলেও সত্য; বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের অধিকাংশ বাবা-মায়েরই সন্তানদের সঙ্গে সমৃদ্ধ সময় কাটানোর ফুরসত কিংবা সদিচ্ছা দুটোরই ভীষণ অভাব। বাবারা নিরন্তর ছুটছেন অর্থবিত্ত ও প্রতিষ্ঠার পেছনে। আর মায়েরা সংসারের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলোর দাবি মেটাতেই গলদঘর্ম। অবসর যেটুকু জোটে তার সবটা খেয়ে নেয় টেলিভিশনের সস্তা বিনোদন কিংবা সামাজিক মাধ্যমের দুর্নিবার নেশা। এই সত্য থেকে আমরা এমন একটা সিদ্ধান্ত সহজেই টানতে পারি- শিশুদের মানস গঠনে এখন অভিভাবকের চাইতে শিক্ষকের ভূমিকা ও গুরুত্ব বেড়েছে অনেক গুণ।